বিশেষ প্রতিনিধি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত বছরের ২৮ অক্টোবর হামলার শিকার হয়েছিলেন ৩০ জনের বেশি সংবাদকর্মী। ওই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে হামলার শিকার সংবাদকর্মীরা ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। সেখানে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকরা একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এ সময় তাদের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।পরে এক নির্দেশে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে এক কমিটি গঠন করে দেন। পরবর্তীতে কমিটিতে পুলিশের অন্য সদস্যদের যুক্ত করা হবে বলেও জানানো হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির বার্তা প্রধান (হেড অব নিউজ) শাকিল আহমেদ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্য সচিব মানস ঘোষ, সাংবাদিক নিজামুল হক বিপুলসহ নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিক বলেন, হামলাকারীরা প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল। সাংবাদিকদের মারধরের পাশাপাশি তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়, ক্যামেরা ভাঙচুর করে। এতো কিছুর পরও তারা প্রমাণ নষ্ট করতে পারেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি রয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পর পুলিশের উপর হামলা, সরকারি সম্পদের ক্ষতি করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু এতদিনেও সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীরা চিহ্নিত হয়নি। আমরা চাই, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
এ কথা শুনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর আমি পুলিশ সদস্যদের যেমন খোঁজ নিয়েছি, তেমনি আহত সাংবাদিকদেরও খোঁজ নিয়েছি। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে আঘাত করা হয়েছে, এটা হামলার ধরন দেখলেই বুঝা যায়। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর আরও বেশি করে পেটানো হয়েছে। সাংবাদিকদের কেন হামলা করা হলো, তা বিশ্লেষণের দাবি রাখে। পৃথিবীর অন্য কোথাও এমনটি দেখা যায় না।’
এ সময় জড়িতদের চিহ্নিত করতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে বিচারের জন্য পাঠানো হলো পুলিশের কাজ। এটা করার জন্য ডিএমপির আন্তরিকতা রয়েছে। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে জড়িতদের চিহ্নিত করা হবে। ডিএমপির ছোট একটা টিম টাস্কফোর্সের মতো করে কাজ করবে।